লিগ্যান্ড কাকে বলে।
মুক্তজোড় ইলেকট্রনধারী যেসব অণু বা আয়ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় মুক্তজোড় ইলেকট্রনের সাহায্যে অন্য ইলেকট্রন গ্রহীতা সত্ত্বার সাথে সন্নিবেশ সমযোজী
বন্ধন গঠন করে তাদেরকে লিগ্যান্ড বলে।
Fe মৌলটি কিভাবে রঙিন যৌগ গঠন করে, বিশ্লেষণ কর।
Fe একটি অবস্থান্তর মৌল হওয়ায় তা রঙিন যৌগ গঠন করে। সাধারণভাবে Fe এর পাঁচটি d অরবিটাল ডিজেনারেট অবস্থায় থাকে। কিন্তু যখনই কোনো লিগ্যান্ড
যুক্তি হওয়ায় জন্য এই d অরবিটালের নিকটে আসে তখন d অরবিটালে উপস্থিত ইলেকট্রন ও লিগ্যান্ডের মুক্তজোড় ইলেকট্রনের মধ্যে বিকর্ষণ ঘটে। এই বিকর্ষণ
বলের প্রভাবে d অরবিটালের মধ্যে শক্তির পার্থক্য ঘটে এবং নন-ডিজেনারেট অবস্থার সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট শক্তির পার্থক্য যদি দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমার মধ্যে
পড়ে, তাহলে d অরবিটালের বিজোড় ইলেকট্রন ঐ আলো শোষণ করে নেয়। আর শোষিত আলোর সম্পূরক আলো বিকিরিত হয়, যা আমরা যৌগটির বর্ণ হিসেবে
দেখতে পাই।