অধ্যায় ৮ : টিস্যু ও টিস্যুতন্ত্র

জ্ঞানমূলক


অনুধাবনমূলক


প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক

DNA এবং RNA এর মধ্যে পার্থক্য লেখো। ঢা.বো.২০১৬
DNA ও RNA এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরুপঃ

বৈশিষ্ট্য DNA RNA
ভৌত গঠন দ্বিসূত্রক, ঘুরানো সিঁড়ির মতো। একসূত্রক, শিকলের মতো।
রাসায়নিক গঠন ডিঅক্সিরাইবোজ শ্যুগার থাকে। পাইরিমিডিনে থাইমিন ও সাইটোসিন থাকে। রাইবোজ শ্যুগার থাকে। পাইরিমিডিনে ইউরাসিল ও সাইটোসিন থাকে।
প্রকার DNA এর কোনো প্রকারভেদ নাই। কাজের ভিত্তিতে RNA চার প্রকার। যথা: tRNA, rRNA, mRNA, gRNA।
উৎপত্তি DNA অনুলিপনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। RNA নতুনভাবে সৃষ্টি হয়। কোনো অনুলিপন হয় না।
অবস্থান প্রধানত ক্রোমোজোমে থাকে। তবে কখনো কখনো মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টে অবস্থান করে। ক্রোমোজোম, সাইটোপ্লাজম, রাইবোজোম ও নিউক্লিওলাসে থাকে।
প্রধান কাজ বংশগতির ধারক, বাহক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করা। প্রোটিন সংশ্লেষ করা।

জীবের বৈশিষ্ট্য প্রকাশে DNA এবং RNA এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ - বিশ্লেষণ করো।ঢা.বো.২০১৬
DNA এর প্রধান কাজ হলো জীবের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করা। জিন হলো DNA এর একটি নির্দিষ্ট খন্ড যাতে সাধারণত পলিপেপটাইড চেইন গঠনের ও নিয়ন্ত্রণের সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে। জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন- চোখের রং, উচ্চতা ইত্যাদি দৃশ্যমান হয় ঐ বিশেষ পলিপেপটাইড বা প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্যই। জিনের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্য প্রকাশের প্রথম ধাপ হলো DNA অণুর তথ্য ব্যবহার করে mRNA অণু তৈরি করা। দ্বিতীয় ধাপে mRNA অণু DNA থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিউক্লিয়াস থেকে রাইবোসোমে আসে। রাইবোসোমে আসার পর mRNA এর কোড ব্যবহার করে tRNA এর সাহায্যে নির্ধারিত সিকুয়েন্স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড সংযুক্ত হয়ে পলিপেপটাইড চেইন তৈরি হয়। এভাবে প্রস্তুত হওয়া পলিপেপটাইড চেইন বা প্রোটিনসমূহ জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, জীবের বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য RNA ও DNA সমন্বিতভাবে কাজ করে তথা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।